ঢাকা শহরে তিন সদস্যের একটি প্রতারক চক্রের প্রতারনার কৌশল এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার নামে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নিতি ও লুটপাটের ব্যবসা



আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব ঢাকা শহরে তিন  সদস্যের একটি প্রতারক চক্রের সাথে। যারা অত্যান্ত কৌশলে, সম্মানের সাথে, আত্নমর্যাদা নিয়ে, মানুষকে ব্লাকমেইল করে আর্থিক অনিয়ম, লুটপাট ও দুর্নিতির মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে ঢাকার ডেমড়া এলাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার নামে প্রতারনার ব্যবসা করে আসছে। 

এই প্রতারক চক্রের প্রথম প্রতারনার ব্যবসা স্থান হল ঢাকার ডেমড়ার এ্রারোমো হাসপাতাল। সেখান হতে অপমানিত ও অপদস্থ হয়ে বের হয়ে পুনরায় করে স্টাফ কোয়াটার এলাকায় হলি এইড হাসপাতাল। সেখান হতে অপমানিত ও অপদস্থ ও জেল খেটে এবং মারধরের শিকার হয়ে বের হয়ে,  আবার প্রতিষ্ঠা করে কোনা পাড়া এলাকায় রয়েল ম্রাক্স হাসপাতাল। কিন্তু আল্লাহর কি রহমত এখানে এসে এই প্রতারক চক্র একই কাজ করে এবং সকলের সামনে তথা হাসপাতালের পরিচালকগন, রোগী , জনসাধারন ও এলাকাবাসীর কাছে তাদের মুখোশ উম্মোচন হয়ে পড়ে। কিন্তু এদের ভিতর না আছে অনুতপ্ত ও অনুশোচনা। এরা নিজেদের পরিচয় দেয় সমাজ সেবক ও উদ্দোগতা হিসেবে।

ঢাকার ডেমড়ার কোনাপাড়ায় অবস্থিত রয়েল ম্যাক্স হাসপাতাল। এখানে একটি প্রতারক চক্র ধরা পড়েছে, যারা গত এক যুগ ধরে ডেমড়া এলাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ব্যবসার নামে মানুষকে প্রতারিত করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।  এই গ্রুপটি সম্পর্কে সতর্ক হউন এবং সজাগ থাকুন এবং এদের সাথে লেনদেন করা হতে বিরত থাকুন।

এই প্রতারক চক্র বা গ্রপ বা দলটির বিস্তারিত তথ্য নিম্নরুপঃ

* দলটির নাম ঃ জিখাজ গ্রুপ অব কোম্পানি - ঢাকা (জি-জিল্লুর রহমান, খা-খাইরুল ইমাম, জ-জসিম উদ্দিন)

* দলটির সদস্য সংখ্যাঃ মুল সদস্য সংখ্যা তিন জন - প্রফেসর ডাঃ মোঃ খাইরুল ইমাম- দলটির চেয়ারম্যান, মোঃ জসিম উদ্দিন - দলটির এম ডি এবং মোঃ জিল্লুর রহমান - দলটির ম্যানেজার।

* দলটির কাজ ঃ সমাজের নম্র, ভদ্র,  উচ্চ শিক্ষিত,  অল্প শিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত এবং মুর্খ লোকদের এক সাথে করে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার  ব্যবসার নামে টাকা নিয়ে হাসপাতাল পরিচালনার নাম করে আর্থিক অনিয়ম, লুটপাট, দুর্নিতি ও প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া।

* দলটির ব্যবসা কাল ও ব্যবসার স্থানঃ  গত ১২ বছর ধরে অত্যান্ত কৌশল ও দক্ষতার সাথে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ঢাকার ডেমরা থানা এলাকায়, এই তিন সদস্যের চক্রটি।

# প্রথম স্থানটি - এ্রারোমো হাসপাতাল  ডেমড়া

# দ্বিতীয় স্থানটি - হলি এইড হাসপাতাল স্টাফ কোয়াটার

# তৃতীয় স্থানটি - রয়েল ম্রাক্স হাসপাতাল কোনাপাড়া বাজার

# চতুর্থ স্থানটি ইউনিটি এইড হাসপাতাল রামপুরা বনশ্রী

* দলটির বর্তমান ব্যবসার স্থানঃ ঢাকার ডেমড়ার কোনাপাড়ার রয়েল ম্যাক্স হাসপাতাল

* দলটির মাস্টারমাইন্ড বা মুল হোতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন - দলটির এম ডি 

* দলটির সাইনবোর্ড ঃ দলটির সাইনবোর্ড হিসেবে চেয়ারম্যান ও এম ডি তাদের কর্মস্থল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নয়াপল্টন এবং ইসলামী ব্যাংক হসপাতাল মিরপুর শাখাকে ব্যবহার করে আসছেন। 

* দলটির লক্ষ ও উদ্দেশ্যঃ সুকৌশলে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সরে পরা।

এই তিন সদস্যের প্রতারক চক্র কিভাবে প্রতারনা করে- এই তিন সদস্যের প্রতারক চক্রের বর্তমান প্রতারনার কৌশল এবং এদের গতিবিধি ও কাজ কর্ম  আমাদের জালে ধরা পড়েছে। যা আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হল। তাদের এই কর্মকান্ড ধরা পরেছে ঢাকার ডেমড়ার কোনাপাড়ার রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালে।

ঢাকার ডেমড়ার কোনাপাড়ার মেইন রোড সংলগ্ন কাচা বাজারের পাশেই তারা উদ্দ্যাগ নেয় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার। সেই নিয়ম মাফিক তারা একটি বাড়ি ভাড়া নেয়ার প্লান করে। সেই প্লান মাফিক বাড়ি ভাড়া নেয়া হয় এবং বাড়িটি ডিড করা হয় এম ডি মোঃ জসিম উদ্দিন এর নামে। যাতে বাড়িটি তাদের কব্জায় থাকে। বাড়ি ভাড়ার জন্য প্রয়োজন টাকা । এবার শুরু টাকা সংগ্রহ।

* ডিরেক্টর হিসেবে টাকার প্রতারনা - টাকার জোগার করার কাজে মোঃ জসিম উদ্দিন পুর্ব পরিকল্পনা মাফিক মোঃ জিল্লিুর রহমানকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ডিরেট্কর জোড়ার শুরু করে। দশজন ডিরেকটর জোগার হয়ে যায় হয়েক মাসে। প্রথম দিকে সকলের ডিরেকটর বাবদ ধরা হয় ৫ লাখ টাকা করে। এসময় মোঃ জসিম উদ্দিন দুবাই প্রবাসী ডিরেক্টর মোঃ রেজাউলের এর কাছ হতে ১০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে একটি ডিরেকটর শিপ বাবদ তার নামে পাচ লাখ টাকা জমা দিয়ে  বাকি ৫লাখ টাকা নিজের নামে দেখিয়ে নিজে ডিরেকটর হয়ে যায়। অর্থাৎ মোঃ জসিম উদ্দিন কোন টাকা নিজ হতে দেয়নি। অপরদিকে মোঃ জিল্লুর রহমান ভেনডর আসাদ এর কাছ হতে  ১০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে একটি ডিরেকটর শিপ বাবদ তার নামে পাচ লাখ টাকা জমা দিয়ে  বাকি ৫লাখ টাকা নিজের নামে দেখিয়ে নিজে ডিরেকটর হয়ে যায়। অর্থাৎ মোঃ জিল্লুর রহমান নিজ হতে কোন টাকা দেয়নি। এবার প্রফেসর ডাঃ খাইরূল ইমাম নিজের সুবিধা মতো ভেঙ্গে ভেঙ্গে ২০/ ৩০/ ৫০ হাজার করে পাচ লাখ টাকা দেয় এবং পরবর্তীতে কৌশলে এই টাকা গোপনে মোঃ জসিম উদ্দিন এবং মোঃ জিল্লুর রহমান এর মাধ্যমে তুলে নেয়। কিন্তু সবাই জানে প্রফেসর ডাঃ খাইরুল ইমাম , মোঃ জসিম উদ্দিন এবং মোঃ জিল্রুর রহমান ৫ লাখ করে টাকা দিয়ে ডিরিক্টর হয়েছেন । কিন্তু বাস্তবতা হল এই তিনজন কেউই কোন টাকা এখানে ইনভেস্ট করেননি বরং প্রত্যেকে এখানে কই মাছের তেল দিয়ে কই মাছ ভাজা শুরু করেছে কেবলমাএ। শুরু হল এদের প্রথম প্রতারনা।

* হাসপাতালের ডেকোরেশন করা নিয়ে প্রতারনা - এবার মোঃ জসিম উদ্দিন সবাইকে বুঝায় বিল্ডিংটি হাসপাতালের জন্য রেডি করতে হবে। এটা করতে গেলে ভাল লোকবল লাগবে যারা সুন্দর করে সেটআপ দিতে পারবে। এটার ডেকোরেশন এর জন্য মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ জিল্রুর রহমান তাদের  নিজস্ব লোকজন নিয়ে আসে এবং কৌশলে এটির ডেকোরশেন করে বিশাল অঙ্কের টাকা খেয়ে ফেলে। 

* হাসপাতালের মেশিনারীজ ক্রয় করা নিয়ে প্রতারনা-এরপর শুরু হয় হাসপাতালের জন্য মেশিনারীজ ক্রয় করা। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক পুর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজের পছন্দের কোম্পানী হতে ক্যৌশলে মেশিনারীজ ক্রয় করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার লুটপাট ও দুর্নিতি করে। পরিচালকগন কয়েকমাসে এটি বূঝার পর অডিট করতে চাইলে মোঃ জসিম উদ্দিন কৌশলে সরে পরে এবং অডিট না করার জন্য বিভিন্ন টাল বাহানা করতে থাকে এবং আজ পর্যন্ত কোন অডিট করতে দেয়নি। 

* হাসপাতালের জনশক্তি নিয়োগ দেয়া নিয়ে প্রতারনা- এবার হাসপাতাল পরিচালনার জন্য লোকবল দরকার। এক্ষে্ে েএ মোঃ জাসম উদ্দিন এবং মোঃ জিল্রু রহমান কৌশলে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিতে থাকে যাতে সবাই তাদের অনুগত হয় এবং প্লান মাফিক চলে এবং হাসপাতাল যাতে তাদের অধীনে থাকে এবং এই লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে প্রত্যেকর কাছ হতে তারা সুবিধা গ্রহন করে নেয়।

* হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট নিয়ে প্রতারনা- রোগীদের বিভিন্ন টেস্ট কৌশলে মোঃ জিল্লুর রহমান ও মোঃ জসিম উদ্দিন এর সহযোগতিায় পার্ম্ববর্তী পপুলার ডায়াগনস্টিক এ পাঠিয়ে দিয়ে কোডিং সিস্টিমে কমিশন খেতে থাকে এবং পরবর্ততে ডিরেক্টরদের হাতে ধরা পড়ে। এ কাজে তাদের সহায়তা করে প্রফেসর ডাঃ মোঃ খাইরুল ইমাম। সব জনার পরও  ইনি নিঃচুপ থাকেন।

* হাসপাতালের রোগীদের কমিশন নিয়ে প্রতারনা- মোঃ জসিম উদ্দিন এবং মোঃ জিল্লুর রহমান কৌশলে রোগীদের বিভিন্ন ফার্মেসির মাধ্যমে এসেছে দেখিয়ে ফার্মেসির নামে কমিশন উঠিয়ে নিজেরা ভাগ করে খেয়ে ফেলতো। ডিরেকটরদের এ ব্যাপারে সন্দেহ হলে তারা অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের এ কারসাজি বের করে ফেলে।

* হাসপাতালের অপারেশনের রোগীদের কমিশন  নিয়ে প্রতারনা- হাসপাতালে বিভিন্ন অপারেশন এর জন্য রোগী আসলে কৌশলে রোগীদের হয় ফার্মেসি অথবা দালার এর মাধ্যমে এসেছে দেখিয়ে সেই টাকা উঠিয়ে এই তিন প্রতারক চক্র ভাগ করে খেয়ে ফেলত। হাসপাতালের অন্যান্য ডিরেকটর গন তাদের এই ছরচাতুরি ধরে ফেলে। 

* হাসপাতালের মাসিক আয় ও ব্যয়  নিয়ে প্রতারনা- হাসপাতালের নামে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খোলা হলেও , হাসপাতালের আয়কৃত টাকা মোঃ জসিম উদ্দিন এবং মোঃ জিল্রুর রহমান নিজেদের কাছে রাখত এবং প্রয়োজন মত খরচ করত ও হিসেব প্রতি মাসেরটি বোর্ড মিটিং এ চাইলেও দিত না। এতে ডিরেকটরগন বার বার বলেও কোন ফল পায়নি।

* হাসপাতালের রোগীদের অপারেশন নিয়ে প্রতারনা- হাসপাতালে আগত রোগীদের কৌশলে বিভিন্ন মারফত এসেছে দেখিয়ে এবং রোগীদের সাথে প্যাকেজ করে এবং পরবর্তীতে ডাঃ এর সাথে প্যাকেজ করে একেকজন রোগীর কাছ হতে দুই তিন দফা কমিশন খেত এবং খায় এই প্রতারক চক্র। যা আমাদের অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে।

* হাসপাতালের স্টাফদের বেতন নিয়ে প্রতারনা- এই প্রতারক চক্র কৌশলে হাসপাতালের বিভিন্ন স্টাফদের বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত করত। এর মধ্যে রয়েছে তাদের বেতন , যেখান হতে তারা কমিশন খেত । পরবর্তিতে ডিরেকটর গন এটা বুঝতে পারে। যেই স্টাফের সাথে তাদের সখ্যতা বেশী তাদের বেতন ঠিক ঠাক দিয়ে দেয়। যাদের কম তাদের ভেঙ্গে ভেঙ্গে বেতন দেয় এবং যাদের সাথে সখ্যতা নেই তাদের না চাইলে বেতন দিত না। এদের মধ্যে যারা বার বার বেতন চাইত এবং যারা দেখতে সুন্দরী , মোঃ জিল্লুর রহমান কৌশলে তাদের টার্গেটে করে রাখত এবং এই তিন প্রতারক চক্র একসাথে তাদের সাথে  অসামাজিক কাজে লিপ্ত হত বলে প্রমান পাওয়া গেছে।

* ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা না রাখা নিয়ে প্রতারনাঃ হাসপাতাল হতে আয়কৃত টাকা তারা নির্দিস্ট ব্যাংক এ্যাকাউন্টে না রেখে নিজেদের কাছে রেখে দিত এবং সেই টাকা দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে লাভ করত এবং টাকা আটকে গেলে ডিরেকট্বরদের ডেকে লোন দিতে বলত এবং বলত যে বাড়িওয়ালা চাপ দিচ্ছে ভাড়া না দিলে হাসপাতাল বন্ধ করে দিবে। এভাবে প্রতারনা করে কয়েক দফা ডিরেকটরদের কাছ হতে টাকা নিয়ে তাদের প্রতারিত করেছে এবং সময়মত টাকা ফেরত দেয়নি।

* হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার নিয়ে প্রতারনা- শেযারের নামে টাকা নিয়ে সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা করে , শেয়ার হোল্ডারদের নিয়ে কোন এ জি এম এখন পর্যন্ত করে নি এবং কোন লভ্যাংশ আজ পর্যন্ত দেয়নি। শেযার হোল্ডার গন চাপ দিলে যে ডিরেকটর এর মাধ্রমে উনি এসেছেন তাকে দেখিয়ে এটা সামলাতে বলতেন। নিজেরা সুকৌশলে সরে পরতেন। 

* ডিরেকট্বরদের বিদায় করা নিয়ে প্রতারনাঃ ডিরেকটরদের হাসপাতাল লসে আছে এবং বাড়ি ভাড়া বকেয়া রয়েছে , স্টাফ বেতন দিতে পারছে না, লোন নিতে হবে এরকম বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে এবং ডিরেকটর ও শেযার হোল্ডারদের কোন রকম লভ্যাংশ না দিয়ে এই প্রতারক চক্র ঠিকই নিজেরা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নিজেরা নিজেদের মত করে এবং নিজেদের শেয়ার হোল্ডারদের সুকৌশলে টাকা দিয়ে বিদায় করছে কিন্তু অন্যদের ঝুলিয়ে রাখছে। এবং কোন প্রতিবাদ করলে বলে চলে যেতে চাইলে এ্যাপ্লিকেশন দিন এবং তিন মাস পরে যোগাযোগ করবেন এবং এর মধ্যে হাসপাতালে আসবেন না বা কোন রকম নাক গলাবেন না। কত সুন্দর প্রতারনা এদের।

* ডিরেকটর নিয়োগ দেয়া নিয়ে প্রতারনাঃ নিজেদের মনমত এবং বোর্ড মিটিং ছাড়াই মোঃ জসিম উদ্দিন বাকি দুই প্রতারকদের নিয়ে সুকৌাশলে ডিরেকটর নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ হতে টাকা নিয়ে নিজেদের মনমত মেমোরেন্ডাম চেন্জ করছে এবং নতুন ডিরেকটর নিয়োগ করছে এবং বিদায় করছে। মনে হচ্ছে যেন এই প্রতিষ্ঠান এই তিন প্রতারক চক্রের এবং বাকিরা সবাই এদের কর্মচারী। সকরের মতামত উপেক্ষা করে তারা তাদের মত করে চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

* ব্যাংক লোন নিয়ে প্রতারনা ঃ মোঃ জসিম উদ্দিন সুকৌশলে সবাইকে বুঝায় যে একটি ব্যাংক লোন নিলে আমাদের হাসপাতাল নিয়ে যে এই সমস্যা হচ্ছে তা আর থাকবে না এবং  আমরা হাসপাতালটিকে লাভের দিকে নিয়ে যেতে পারব। এই কথাটি অত্যান্ত কৌশলে সে সবাইকে বুঝায়। সবাই রাজি হয় । সমস্যা বাধে কার নামে ব্যাংক লোন নেয়া হবে এবং কে গ্যারান্টার হবে এবং হাসপাতালের নামে ব্যাংক লোন নেয়া হলে সেটির দায়ভার পড়বে প্রফসর ডাঃ খাইরূল ইমাম ও মোঃ জসিম ইদ্দিন এর নামে। যেহেতু চেয়ারম্রান ও এম ডি এরা। তখন সুকৌশলে মোঃ জসিম ইদ্দিন ব্যাংক লোন হতে সরে পড়ে।

* ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রতারনাঃ এই প্রতারক চক্র কৌশলে তাদের তিনজনের জন্য তিনটি পোস্ট রেখে আর কাউকে কোন পোস্ট না দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা শুরু করে এবং কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে চলে যেতে বলে এবং বলে এই তিনটি পদের বাহিরে আর কোন পদ হবে না। মনে হচ্ছে যেন তাদের বাপের টাকায় তারা হাসপাতাল করেছে। বাকিরা সবাই কর্মচারি। সবাই প্রতিবাদি হয়ে উঠলে কয়েক জনকে বিভিন্ কর্ম বন্টন করে দেয়ে এবং এই প্রতারক চক্র নিজেদের জন্য তিনটি পদ এমন ভাবে রাখে যাতে পুরো হাসপাতালের কন্ট্রোল তাদের হাতে থাকে। এবং এই অবস্থার জন্য তারা বিভিন্ন পদে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের অনুগত লোক নিয়োগ দিতে থাকে এবং তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে থাকে।

* বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাএদের সাথে প্রতারনাঃ বৈশম বিরোধী ছা্এ আন্দোলনের সময় এই তিন প্রতারক আওয়ামীলিগ নেতা আহত ছাএদের হাসপাতালের ইমাজের্ন্সি ও ইনডোর চিকিৎসা সার্ভিস দেয়া নিয়ে প্রতারনা করেছে এবং যারা হাসপাতালে সেদিন ছাএদের চিকিৎসা সার্ভিস দিয়েছিল সেদিন এই প্রতারক চক্র কোনাপাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ কে দিয়ে তাদের গ্রেফতারের অপচেষ্টা করেছিল।

* পরিচালনা কমিটি নিয়ে প্রতারনাঃ হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব কোনভাবেই যাতে এই প্রতারক চক্র এর হাত ছাড়া না হয়, সেজন্  এই প্রতারক চক্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টালবাহানা ও পন্থা অবলম্বন করত। এক পর্যায়ে এসে হাসপাতালের ডিরেকটরগন এই তিন প্রতারক চক্রের সমস্ত ছলচাতুরি ধরে ফেলে এবং এদের তির্যক ভাষায় তিরস্কার করা হয়। কিন্তু চোর না মানে ধর্মের কাহিনি। কারন এই তিন প্রতারক চক্রের না আছে মান সম্মান ও লজ্জা শরম। কারন যাদের এগুলো নেই তাদের তো কিছুই নেই। তারা চেয়ারম্রান, এম ডি ও ম্রানেজার ছাড়া আর কোন পদ হাসপাতালে রাখবে না এবং কোন পদ কাউকে দিবে না। কিন্তু কৌশলে কর্মবন্টন করে  সেই লোকদের তাদের অধীনে রাখবে।

* হাসপাতালের অডিট করা নিয়ে প্রতারনাঃ এই তিন প্রতারক চক্র মিলে রয়েল ম্রাক্স  হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার নামে প্রায় এক কোটি টাকা আত্নসাৎ করে ফেলে। ডিরেকটরগন যখন এটা বুঝতে পারে এবং হাসপােতালে অডিট করতে চায় তখন শুরু হয় এই  প্রতারক চক্র এর হোতা বা মাষ্টারমাইন্ড মোঃ জসিম উদ্দিন এর কুকির্তি সমূহ বা তার ছল চাতুরি সমূহ। যখন সকলেই বুঝতে পারে কেন মোঃ জসিম উদ্দিন সহ এই তিন প্রতারক চক্রকে এ্রারোমো হাসপাতাল, হলি এইড হাসপাতাল এ কেন মারধর করে অপমানিত করা হয়। কেন হাসপাতালে বেধে রাখা হয়। কেন এদের জেলে দেয়া হয়। কেন এদের নামে মামলা হয়। কেন এদের নামে চেক জালিয়াতির মামলা করা হয়। কেন এরা এর প্রতিবাদ করেনি । এরা কেন এটা মেনে নিয়েছে। আসা করি বুঝতে পারছেন।  

 * হাসপাতালে অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে প্রতারনাঃ মানেজার মোঃ জিল্রুর রহমান  হাসপাতালের সুন্দরী মেয়ে স্টাফ বিশেষ করে আয়া, বুয়া, স্রাম্পল কালেকশন ও রিসিপশনিষ্ট মেয়ে, যারা অভাবী ও ডিভোর্স এদের টার্গেীট করে অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্র করত নইলে চাকুরি হতে বের হরে দেয়া হবে বলে ভয় দেখায় এবং বের করে দেয় কথা না শুনলে। এরকম তিনটি প্রমান আমাদের হাতে িএসেছে অসামাজিক কার্জকলাপের যার সাথে এই প্রতারক চক্র জড়িত।

*গ্রুপিং করে প্রতারনা করাঃ  হাসপাতালের কেউ তাদের বিরুদ্ধচারন করলে মোঃ জসিম উদ্দিন কৌশলে তাদের মাঝে গ্রপিং করে তাদের ছএভঙ্গ করে দিতে এবং তাদের সকলের সামনে অপমান ও অপদস্থ করতে চাইত। ফলে কেউ তাদের বিরুদ্ধচারন করতে চাইত না। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলত। এরকম পরিস্তিতি হওয়ায় অনেকে এখান হতে ডিরেকটরশিপ বাদ দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাওয়া সম্মানের বলে ভাবত এবং মোঃ জসিম উদ্দিনকে বলত ভাই আমার টাকাটা দিয়ে দেন আমি চলে যাব এখানে থাকব না।

Comments

Popular posts from this blog

Prof. Dr. Md. Abu Saleh Alamgir. BPT, MD, MPH, MDMR, PhD. Physiotherapy Medicine & Rehabilitation Consultant

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা এবং স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা- বি পি আর সি

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর। বি পি টি, এম ডি, এম পি এইচ, এম ডি এম আর, পি এইচ ডি - বি পি আর সি