ফ্যাটি লিভারের কারণ গুলো জেনে নিন - বি পি আর সি

 ফ্যাটি লিভার তখন ঘটে যখন যকৃতে বা লিভারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চর্বি জমে। সাধারণত %-১০% চর্বি জমলে এটি ফ্যাটি লিভার হিসেবে ধরা হয়। এটি দুটি প্রধান ধরনের হতে পারে।

একটি হলো অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার যা অ্যালকোহল সেবনের কারণে হয়। আর অন্যটি হলো নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ যা অ্যালকোহল ছাড়াও বিভিন্ন কারণে হয়।

 

জেনে নিন ফ্যাটি লিভারের কারণসমূহ-


. খাদ্যাভ্যাস জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত চর্বি ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া। ফাস্ট ফুড প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব।


. ওজন সমস্যা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা। বিশেষ করে যখন পেটের চারপাশে বেশি চর্বি জমে।


. স্বাস্থ্যগত সমস্যা: টাইপ ডায়াবেটিস। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। হাইপারলিপিডেমিয়া: রক্তে উচ্চমাত্রার চর্বি (যেমন: ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরল) মেটাবলিক সিনড্রোম।


. অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল যকৃতের বা লিভারের কোষে চর্বি জমার জন্য দায়ী।


. ঔষধের প্রভাব: কিছু ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড, টেট্রাসাইক্লিন বা কেমোথেরাপি) যকৃতে বা লিভারে চর্বি জমাতে ভূমিকা রাখে।

 

. অন্যান্য কারণ: দ্রুত ওজন কমানো বা পুষ্টিহীনতা। জিনগত বা বংশগত কারণ। কিছু ভাইরাসজনিত ইনফেকশন।


লক্ষণসমূহ-

শুরুতে ফ্যাটি লিভার কোনো লক্ষণ দেখায় না। পরে সেগুলো ফুটে ওঠে আস্তে আস্তে।

. ডান পাশে পাঁজরের নিচে ব্যথা।

. ক্লান্তি বা দুর্বলতা।

. ওজন কমে যাওয়া।

. যকৃতের ফোলাভাব।


প্রতিরোধ চিকিৎসা-

. সুষম খাদ্য: শাকসবজি, ফল, আঁশযুক্ত খাবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া।

. ওজন নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন কমানো।

. অ্যালকোহল পরিহার: এটি ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

. চিকিৎসা: ডায়াবেটিস বা লিপিড সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

 

 

Comments

Popular posts from this blog

Prof. Dr. Md. Abu Saleh Alamgir. BPT, MD, MPH, MDMR, PhD. Physiotherapy Medicine & Rehabilitation Consultant

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা এবং স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা- বি পি আর সি

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর। বি পি টি, এম ডি, এম পি এইচ, এম ডি এম আর, পি এইচ ডি - বি পি আর সি