জুলাই - 24 এর গনহত্যায় নেতৃত্ব দানকারীরা এখনও বহাল তবীয়তে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে। তাহলে এই স্বাধীনতা ও গনহত্যার মুল্য কোথায়।- বি পি আর সি
জুলাই - 24 এর গনহত্যায় নেতৃত্ব দানকারীরা এখনও বহাল তবীয়তে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে। তাহলে এই স্বাধীনতা ও গনহত্যার মুল্য কোথায়।
প্রফেসর
ডাঃ খাইরুল ইমাম, যিনি আদ দ্বীন হাসপাতালে
মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক ও
বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ৫ই আগষ্ট পরবর্তী
সময়ে আদ দ্বীন হাসপাতাল
হতে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়, জুলাই 24 এ ছাএ জনতার
গনহত্যায় নেতৃত্ব দেয়ার কারনে। অথচ ইনি এখনও নিয়মিত চেম্বার করে যাচ্ছেন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল
নয়াপল্টনে ও শান্তিনগরের পপুলার
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
অত্যান্ত
ধুরন্ধর ও প্রতারক পক্রিতির
এই লোক কৌশলে মেডিসিন কনসালটেন্ট হয়েও মেডিসিন, অর্থোপেডিক, নিউরোলজি, গাইনি, স্পোর্টস সহ সব রকমের
রোগী দেখেন শুধুমাএ মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ জিল্লুর
রহমান এর সহযোগীতায় বিভিন্ন
হাসপাতাল। পাশাপাশি রোগীদের টেস্টের নামে বিশাল অঙ্কের টাকা নামিয়ে ফেলেন এবং ইচ্ছেমত ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ লিথে তাদের কাছ হতে এবং হাসপাতাল হতে কমিশন বানিজ্য করে আসছেন।
মোঃ
জসিম উদ্দিন ছিলেন রিসিপশনিষ্ট ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল
মুগদায়। কনসালটেন্টের সাথে ঔদ্যত্তপুর্ন আচরনের
কারনে তাকে ট্রান্সফার করা হয় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল চট্রগামে। সেখান থেকে এসে জয়েন করেন ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল
হাসপাতাল কাকরাইলে। তখন হাসপাতাল এস আলম এর
দখলে। অত্যান্ত চতুর
এ লোকটি তখন এস আলমের সাথে
কৌশলে তাল মেলানো শুরু করেন। এস আলমকে ব্যবহার করে রিসিপশনিষ্ট হতে এ্যাডমিনে আসেন
পদবী চেন্জ করে একই গ্রেডে। শুরু হয় এ্যাডমিন
মোঃ জসিম উদ্দিন এর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল
হাসপাতাল কাকরাইলে। স্টাফগন ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে হাসপাল হতে বের করে দেন। ডিউটি স্টপ করে দেয়া হয়। 5 ই আগষ্ট পরবর্তী
সময়ে চাকুরি পাওয়ার জন্য আই
বি এফে যায়, ছাএ জনতা ও হাসপাতালের ষ্টাফগন
তাকে ধরে জামাই আদর করে। পরবর্তীতে পুনরায় আবার কাকরাইলের শাখায় জয়েন করতে গেলে পুনরায় তাকে কাকরাইলের ষ্টাফগন জামাই আদর করে। পরবর্তীতে উর্ধবতন কতৃপক্ষকে ধরে বর্তমানে এই চতুর ও
চাটুকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল
মিরপুরের কার্ডিয়াকে ডিউটি করে যাচ্ছেন।
মোঃ
মামুনুল হক আছেন ইসলামী
ব্যাংক হাসপাতাল মুগদা শাখার ল্যাবরেটরি বিভাগে।
তার আয়ের মুল ব্যবসা হচ্ছে
বিভিন্ন হাসপাতালের ল্যাব বিভাগ।
ল্যাবের মেশীনারীজ কোম্পানী হতে ক্রয় করা, রিএ্যাজেন্ট ব্যবসা, এবং
কৌশলে ল্যাব এর
টেষ্ট বাহিরের ল্যাব হতে
করানো। কেননা হাসপাতাল যতদিন থাকবে ঐ ল্যাবের
মেশীনারীজ চালানোর জন্য ঐ
কম্পানীর রিএ্যাজেন্ট ই লাগবে। অন্য কোনো কম্পানিরটা
দিয়ে হবে না। ফলে কম্পানির কাছ হতে কমিশন অটো আসবে। কেউ বুঝবে না , ধরতে পারবে না। কি চমৎকার কৌশল।
কমিশন চলতে থাকে কম্পানির কাছ হতে, রিএ্যাজেন্ট হতে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে।
এরা
মানুষের কাছে ফেরেশতা সেজে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের
সাইনবোর্ড ব্যবহার করে
মানুষকে সুকৌশলে প্রতারিত করে আসছে এবং মানুষকে শয়তানের ধোকায় ফেলছে। এই লোকগুলোর মান-
সম্মান ও লজ্জা- শরম
ছাড়া বাকি সবই আছে। এরা প্রয়োজনে মোনাফেক হয় এবং প্রয়োজনে
মুমিন হয়। সবই শুধুমাএ স্বার্থের জন্য। বাহির
হতে এদেরকে ফেরেশতা মনে হবে। এদের ব্যাপার সকলকে
সাবধান ও সতর্ক হওয়ার
জন্য অনুরোধ করছি।
এই
তিন প্রতারক চক্র ডেমরার ষ্টাফ কোয়াটার এলাকায় হলি এইড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে, সুকৌশলে চেয়ারম্যান, এম ডি ও
ল্যাব ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নেয়। অন্যান্য
পরিচালকগনকে কিছু বুঝতে না দিয়ে। ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয় মোঃ জিল্লুর রহমানকে।
মোঃ
জিল্লুর রহমান যার সাথে প্রফেসর ডাঃ খাইরুল ইমামের সম্পর্ক ডেমরার এ্যারোমো হাসপাতাল
হতে। যেখান হতে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নিতির দায়ে
প্রফেসর ডাঃ খাইরুল ইমাম ও মোঃ জিল্লুর
রহমানকে বের করে দেয়া হয়।
হলি
এইড হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম,
দুর্নিতি, লুটপাট ও কমিশন বানিজ্যের কারনে অন্যান্য
পরিচালকগন এক হয়ে মোঃ
জিল্লুর রহমান ও মোঃ জসিম
উদ্দিনকে ধরে মারধর করে এবং মোঃ জিল্লুর রহমানকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। মোঃ জসিম উদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যায়। চেয়্যারম্যান প্রফেসর ডাঃ খাইরুল ইমামের এর বিরুদ্ধে চেক
জালিয়াতির মামলা করা হয়।
এখান
হতে বের হয়ে এরা পুনরায় একই ব্যবসার উদ্যোগ নেয় এবং বেছে নেয় ডেমড়ার কোনাপাড়া এলাকাকে। এখানেও একই প্রক্রিয়ায় মানুষের কাছ হতে টাকা পয়সা নিয়ে তৈরি করে রয়েল ম্যাক্স হাসপাতাল। একই
পক্রিয়ায়
প্রফেসর ডাঃ খাইরুল ইমাম নিজেকে চেয়ারম্যান, মোঃ জসিম উদ্দিন নিজেকে এম ডি, মোঃ
জিল্লুর রহমান নিজেকে ম্যানেজার করে মেমোরেন্ডাম করে ফেলে, পরিচালকগনের অনুমতি না নিয়ে। হাসপাতালের
ডেকোরেশন ও মেশিনারীজ ক্রয়
বাবদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার
দুর্নিতি করে এই প্রতারক চক্র।
হাসপাতালের একাউন্ট নিজেদের নামে করে কিন্তু এ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা না দিয়ে , টাকা
নিজেদের কাছে রাথে। হাসপাতালের কোনো পরিচালনা কমিটি না করে এই
তিনজন সকলের মতামতকে উপেক্ষা করে হাসপাতাল পরিচালনা করতে থাকেন। হাসপাতালে কোনো নিয়োগ কমিটি না করে এই
তিনজন নিজেদের মনমত লোক নিয়োগ দেন ও ছা্টাই করেন।
মাসিক কোনো আয় ও ব্যায়ের
কোনো হিসেব এরা বোর্ড মিটিংয়ে দেয় না বা প্রয়োজন
মনে করে না। আর্থিক অনিয়ম, লুটপাট ও প্রতারনার মাধ্যমে
এরা হাসপাতালটি পরিচালনা করে আসতেছিল। মাস্টারমাইন্ড মোঃ জসিম উদ্দিন এম ডি কৌশলে
অন্যান্য পরিচালকগনেএর মধ্যে গ্রুপিং করে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চেস্টা চালান। পরবতীতে তার সকল চালাকি ধরা পড়ে গেলে এবং অন্যান্য পরিচালকদের কাছ হতে কৌশলে সরে যাবার জন্য তার বউকে পরিচালক পদটি ট্রান্সফার করে দেন এবং পেছন হতে সমস্ত কল কাঠি নাড়তে
থাকেন।
মোঃ
জিল্লুর রহমান যার কোনো টাইপ ই নাই। না
আছে ক্যারেকটার বা চরিএ, না
আছে লজ্জা-শরম, না আছে শিক্ষাগত
যোগ্যতা, না আছে আত্ন-সম্মানবোধ। যিনি এ্যারোমো হাসপাতাল হতে আর্থিক অনিয়ম ও চুরি এবং
লুটপাটের অভিযোগে বের করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে হলি এইড হাসপাতাল হতে মেরে বের করে দেয়া হয়েছে এবং প্রায় দির্ঘদিন জেল খাটা আসামি। জেল হতে বের হয়ে একই ব্যবসা আবার শুরু করেন। রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালে প্রায় ২লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার
চুরির অভিযোগে তাকে বের করে দেয়া হয়। চেয়ারম্যান ও এম ডি
র কৌশলে আবার তাকে হাসপাতালে ঢুকানো হয়। হাসপাতালে ঢুকে হাসপাতালের আয়া কোহিনুর এর সাথে টয়লেটে
অনৈতিক কর্ম কান্ড করা অবস্থায় ধরা পরে। এখানেই শেষ নয় , ডিভোর্স ধারী প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বা মহিলাদের হাসপাতালে
স্টাফ হিসিবে নিয়োগ দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল দির্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন ফার্মেসি ও পল্রি চিকিৎসকদের
কাছ হতে রোগী এসেছে বলে গাদের নামে কমিশন উঠিয়ে খেয়ে ফেলতেন। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি হতে হাসপালের জন্য জিনিসপাএ নিয়ে বাউচার করে সেই টাকা নিজে খেয়ে ফেলতেন। এসকল কাজে তার সহযোগী ছিলেন-চেয়ারম্যান, এম ডি, ল্যাব
ইনচার্জ ও এ্যাকাউন্ট ইনচার্জ।
এদের ম্যোনেজ করে তার দিনকাল ভালই চলছিল। কিন্তু ধরা পরে যান পরিচালক মোঃ শাহ আলম , মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ ইয়াকুব আলী ও ডাঃ মোঃ
আসাদুজ্জামান এর কাছে।
এই
তিন গুনধর ব্যক্তি চেয়ার ম্যান, এম ডি, মানেজার
জুলাই ২৪ এর চাএ
জনতার গনহত্যাকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ট বাস্তবায়ন করেছেন।
কোনপাড়ার
আক্রান্ত আহত ছাএদের যখন রয়েল ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন এদের
চিকিৎসা করেন ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার ও পরিচালক ডাঃ
মোঃ আসাদুজ্জামান এবং পরিচালক প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর।
এরা
এদর দুইজনকে এ ব্যাপারে সতর্ক
করে দেন এ রকম রোগী
না দেখার জন্য এবং থানা হতে পুলিশ এন এদের এ্যারেস্ট
করানোর চেষ্টা পর্যন্ত চালিয়ছিলেন। সুবিধা করতে না পেরে পরিচালক
ডাঃ মোঃ আসদুজ্জামানকে হাসপাতাল হতে বের করে দেন এবং প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর এর চেম্বার বন্ধ
করে দেন এবং তাকে হাসপাতাল হতে বের করে দেয়ার জন্য নানা রকম হুমকি ও ধমকি দিয়ে
আসছেন।
ইতমধ্যে
এরা বোর্ড মিটিং ছা্ড়াই আরও পরিচালক নিয়ে , নতুন মেমোরেন্ডাম করে বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনিয়ম ও লুটপাট করেছেন
এবং পরিচালক মোঃ শাহ আলম ও পরিচালক আসাদুজ্জামান
নুরকে বের করে দিয়েছেন।
Comments
Post a Comment