করোনা ভাইরাস এ ফিজিওথেরাপি মেডিসিন ও রি-হ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা - বি পি আর সি
নভেল করোনা ভাইরাস হলো করোনা ভাইরাসের এক নতুন প্রজাতি। এই রোগটি প্রথমে চিনের উহানে ২০১৯ সালে চিন্হিত হয়েছিল বলে একে কভিড-১৯ বলা হয়। এটি অতিতের র্সাস ভাইরাস এবং কয়েক ধরনের সদি-জ্বর জাতীয় ভাইরাসের পরিবারভুক্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ কে মহামারি হিসাবে উল্লেখ করেছে। কারন মুলত এর ভৌগলিক বিস্তারের স্বীকৃতিস্বরুপ এক মহামারি বলা হচ্ছ্ েএই ভাইরাসের ভয়াবহতার কারনে নয়। কোভিড-১৯ ভাইরাসটি যে কোন দেশে এবং যে কোন সম্প্রদায়ের শিশু ও পরিবারের মধ্যে বিস্তার লাভ করতে পারে।
কিভাবে কভিড-১৯ ছড়ায়:- সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোটার মাধ্যমে অর্থাৎ কাশি এবং হাচির মাধ্যমে সরাসরি এবং এই ভাইরাস দ্বারা দুষিত অংশ স্পর্শ করার মাধ্যমে এটি সংক্রমিত হয়ে থাকে। এটি বেশ কয়েক ঘন্টা ভূ-পৃষ্ঠে বেচে থাকতে পারে। সাধারণ জীবানু নাশক দ্বারা এটি ধ্বংশ করা সম্ভব। কভিড-১৯ এর লক্ষন সমূহ কি কিঃ- কভিড-১৯ এর লক্ষন সমূহ হচ্ছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। এই সংক্রমনের পলে নিউমোনিয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হতে পারে। সংক্রমনের ঝুকি কিভাবে এড়াতে পারিঃ- * ঘন ঘন সাবান ও পানি দ্বারা বা এ্যালকোহল যুক্ত হাত ধোয়ার সামগ্রী ব্যবহার করে হাত ধোয়া * হাচি বা কাশি দেবার সময় মুখ এবং নাক কনুই বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখা * ঠান্ডা লেগেছে বা জ্বরের লক্ষন আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা * আপনার বা পরিবারের কারও লক্ষন সমূহ থাকলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিন। সতর্কতা ঃ- মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করা এবং হাত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখা। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় উন্নত দেশ সমুহে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম শাখা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাকে সম্পৃক্ত করা হলেও, আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের কভিড-১৯ আক্রান্ত দের চিকিৎসা টিমে সম্পৃক্ত করা হয়নি। ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বাধিক গবেষনালব্দ, বিজ্ঞান-ভিত্তিক, আধুনিক, মান-সম্মত ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মুক্ত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। করোনা-কালীন এবং করোনা পরবর্তী সময়ে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কার্ডিও-রেসপিরেটরি কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে আধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের মাসকিউলো-স্কেলিটাল পেইন নিরাময়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। কভিড-১৯ বা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল সমূহে চিকিৎসক টিমে কার্ডিও-রেসপিরেটরি এবং মাসকিউলো-স্কেলিটাল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে কোন প্রকার চিন্তা ভাবনা বা পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। কভিড -১৯ রোগীদের চিকিৎসায় মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কার্ডিও-রেসপিরেটরি ফিটনেস বাড়াতে এবং মাসকিউলো-স্কেলিটাল পেইন নিরাময়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। উপদেশঃ- করোনা প্রতিরোধের মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, শারিরীক ফিটনেস বাড়ানো, কার্ডিও-রেসপিরেটরি এনডিওরেন্স ঠিক রাখা, পরিমিত পুস্টিকর খাবার গ্রহন এবং এর সাথে ভিটামিন সি ও ডি জাতীয় খাবার গ্রহন করা, প্রচুর পানি পান করা, ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো এবং শারিরীক ব্যায়াম করা, মানসিক টেনশন কম করা।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
ডিজএ্যাবিলিটি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ
দ্যি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা
চেম্বারঃবাংলাদেশ পেইন, ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
মলিবাগ মোড়, ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ বিল্ডিং এর ৫ম তলা
মোবাইলঃ ০১৮২৭৩০৫৭৩৮, ০১৬৪১৫৭৬৭৮৭
Comments
Post a Comment