ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি পেতে কি কি অভ্যাস বাদ দিবেন - বি পি আর সি
ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি পেতে কি কি অভ্যাস বাদ দিবেন
আজকাল আমাদের সমাজে ব্যাকপেইন খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এমন কোন ঘর খুজে পাওয়া দুস্কর হবে, যে ঘরে ব্যাক পেইন আক্রান্ত কোন রোগী নেই। ঘাড় থেকে শুরু করে পিঠ, কোমড়, নিতম্ব ও লেজের অংশ অর্থাৎ মেরুদন্ডের একেবারে শেষ অংশ পর্যন্ত যে ব্যথা তা ব্যাকপেইন নামে পরিচিত। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ ব্যাকপেইনে ভোগেন। যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটাও বেশি। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় ব্যাকপেইনে ভুগে থাকেন।
ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে জানা দরকার কী কী কারণে এই ব্যাকপেইন হয়। শতকরা ৯০ শতাংশ ব্যাক পেইন খুব সহজেই ভাল হয়ে যায়। নিম্ন লিখিত সমস্যা গুলো এড়িয়ে চলুন এবং ব্যাক পেইন সম্পর্কে সতর্ক হউন দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে থাকা: অনেক সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকলে আপনার মেরুদণ্ডের উপর চাপ পড়ে। এজন্য সবসময় সোজা হয়ে বসার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে উঠে মাঝেমধ্যে হাটাহাটির চেষ্টা করুন। হাই হিলস: আমরা মেয়েরা বেশিরভাগ হাই হিল পচ্ছন্দ করি। এতে করে একদিকে খুব স্টাইলিশ দেখালেও মেরুদণ্ডের উপর চাপ পড়ে। এতে করে শুরু হয় ব্যাকপেইন।
অস্বস্তিদায়ক মেট্রেসে ঘুমানো: দশ বছরের বেশি কখনোই একটি মেট্রেস ব্যবহার করা উচিত। আপনি যদি টানা ২০ বছর একটি মেট্রেসে ঘুমান এতে করে তৈরি হবে অনেক সমস্যা। মেরুদণ্ডের উপর চাপ তৈরি হবে আর এতে করে আপনার ব্যাকপেইন হবে। ব্যায়াম না করা: আপনি যদি ওয়ার্কআউট না করেন বা কোন কাজ না করেন তাহলে সমস্যা প্রকট হতে পারে। দীর্ঘদিন শরীর নড়াচড়া না করলে আপনার তৈরি হতে পারে ব্যাকপেইন।
ধূমপান:
ধূমপান ক্যালসিয়ামের শোষণকে হ্রাস করে এবং হাড়ের নতুন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, ধূমপান থেকে ঘন ঘন কাশি পিঠে ব্যথা হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন:
অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় আপনাকে পিঠে ব্যথা সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।এনআইএনডিএস আরও বলেছে, "আপনার ওজন বেশি হওয়ায় আপনার পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ এটি আপনার পিছনের পেশী এবং হাড়গুলিতে অতিরিক্ত স্ট্রেস যুক্ত করতে পারে।" ঘুম কম: ভালো ঘুম না হলেও শরীরে অবসাদ ধেকে ব্যাকপেইন হতে পারে।
ভারী ওজন তোলা:
যদি আপনি প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনের অংশ হিসাবে ওজন উত্তোলন করেন তবে এটি সঠিকভাবে করুন। অন্যথায়, ভারী ওজন তোলার সময় দুর্বল গঠন আপনার পিঠ সহ আপনার শরীরের কোনও অংশকে আহত করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতে পারে।
পুষ্টির অভাব:
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও মিনারেল পরিমিত গ্রহণের চেষ্টা করুন। তা না হলে ব্যাকপেইন শুরু হতে পারে। ব্যায়ামে ভুল: নিজের শরীর না বুঝে ভুল ব্যায়াম করলে আপনার ব্যাকপেইন শুরু হতে পারে। এজন্য ব্যাকপেইন থেকে বাঁচতে উপরের অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি ব্যাক পেইনে আক্রান্ত হলে, একজন ব্যাক পেইন বিশেষজ্ঞ এর তত্বাবধানে আপনার ব্যাক পেইনের চিকিৎসা করুন। মনে রাখবেন বূল চিকিৎসা আপনার রোগের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়ে আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।
প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর, বি পি টি, এম ডি, এম পি এইচ, এম ডি এম আর, পি এইচ ডি,
ব্যাক পেইন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র ফিজিওথেরাপি মেডিসিন কনসালটেন্ট, চেম্বারঃ বাংলাদেশ পেইন, ফিজিওথেরাপি এন্ড রি-হ্যাবিলিটেশন সেন্টার এখন অপনাদের সেবায় ঢাকার প্রানকেন্দ্র মালিবাগ মোড় ও পুর্ব নাখালপাড়ায় কনসালটেন্টঃ ফিজিওথেরাপি মেডিসিন এন্ড রি-হ্যাবিলিটেশন ডিপার্টমেন্ট এ -ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, মালিবাগ মোড়, ঢাকা মোবাইলঃ০১৬৪১৫৭৬৭৮৭, ০১৭৩৮৩৯৪৩০৯
Comments
Post a Comment